বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
একটি জলমহালের লিজ সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের বদলপুর গ্রামে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত ৩০/৪০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
গ্রামবাসি ও ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ হাবিল মিয়ার সূত্রে জানা যায়, বদলপুর গ্রামের একটি সমিতির নামে প্রতি বছর জলমহাল (গাং) লিজ নেয়া হয়। এ বছর সভাপতি ও সেক্রেটারি সমিতির অনেককেই না জানিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে দেন। এ নিয়ে ৬/৭ মাস আগে দিরাই থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়। এ খবর জানাজানি হলে গ্রামের লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। সোমবার সকাল ৮টায় এ নিয়ে বাক বিতণ্ডার এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে সাবেক মেম্বার সিজিল মিয়া ও লন্ডন প্রবাসি সিজিল মিয়ার লোকজন। এতে নারী-পুরুষসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। এরমধ্যে গুরুতর আহতদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন গ্রামের আলাই মিয়ার ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৩৬), মোঃ আব্দুল গণির ছেলে আলী আমজদ (৬০), তার ছেলে তোফায়েল মিয়া (২৫), জামান মিয়ার ছেলে সাইফুল মিয়া (২৪), তাজ উদ্দিনের ছেলে শফিকুল মিয়া (৩৬), লুৎফুর রহমানের ছেলে জিয়াউর রহমান (২১), আমিরুল হকের ছেলে সাইম মিয়া (১৯), মোঃ রাজু মিয়া, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে সাবাজ মিয়া (১৯), আদিল মিয়ার স্ত্রী কুলসুমা বেগম (৫০), আক্তার মিয়ার ছেলে শান উল্লাহ (২৪), আব্দুস সামাদের ছেলে শফিক মিয়া (৪৮), আব্দুল মনাফের ছেলে তাহির মিয়া (৬৫), স্বপন মিয়া (৩৮), জমিরুল হকের ছেলে রেজাউল (২২), কালাই মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান (৩৬), আফতাব উদ্দিনের ছেলে শিহাব মিয়া (৩৫)।
দিরাই থানার অফিসার ইন-চার্জ মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, গ্রামের দুটি পক্ষের মধ্যে একটি জলমহাল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ৬/৭ মাস আগে এ নিয়ে থানায় একটি মামলাও হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। কোন পক্ষই এখন পর্যন্ত মামলা দায়ের করেনি, তবে তাৎক্ষণিকভাবে ২ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।